প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

৩১/০৮/১৯৪১খ্রি. তারিখে প্রতিষ্ঠিত কাঞ্চনপুর এলাহিয়া ফাযিল মাদরাসাটি অত্র এলাকার ইসলাম দরদী জনমন্ডলীর এক মশাল যার আলোকবর্তি যুগযুগ ধরে শিরক, কুফর ও বিদআতের পুঞ্জিভূত অন্ধকার বিদূরিত করার জন্য অসংখ্য কুরআন সুন্নায় দক্ষ আলোকিত মানুষ প্রস্তুত করে আসছে। আজ থেকে ৮০ বছর পূর্বে পরকালীন জীবনে জাহান্নাম হতে মুক্তি ও জান্নাত লাভের প্রত্যাশায় ধর্মপ্রাণ মুসলিম মিল্লাত শ্ৰম, আন্তরিকতা ও আর্থিক সহযোগিতা পূর্বক অত্র প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি স্থাপন করেন মৌলভী আজহার আলী খান ৩১/০৮/১৯৪১খ্রি তারিখে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় হতে অদ্যাবধি ধর্মানুরাগী ব্যক্তিবর্গের আর্থিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে মাদরাসার গভর্ণিং আন্তরিক তদারকি, অধ্যক্ষ সাহেবের দক্ষ পরিচালনা ও শিক্ষক মন্ডলীর নিরলস প্রচেষ্টায় দাখিল, আলিম ও ফাযিল পাবলিক পরীক্ষায় বাসাইল উপজেলায় অন্যতম স্থান অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি সামনের দিকে আরও অগ্রসর করার লক্ষ্যে বর্তমান গভর্ণিং বডির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, শ্রম ও এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অবদানে ইতোমধ্যে ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনের ৩য় তলার কাজ সুসম্পন্ন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য জনতার মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাদের কোমল মতি পুস্পের মত হৃদয়বান সন্তানদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করতে আগ্রহী। সুধী মহলের কাছে আমাদের আরজ আপনাদের প্রাণপ্রিয় সন্তানকে ইসলাম ও আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের সমন্বিত শিক্ষায় শিক্ষিত, সৎচরিত্রবান নাগরিক ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এই মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমাদের রয়েছে বিরামহীন প্রচেষ্টা ও সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা। আল্লাহ আমাদের সহায় হউন।
সভাপতির বাণী

পড়! তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন (সূরা-আল্লাক্ব :১)। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাদরাসা শিক্ষা শিক্ষাব্যবস্থাকে বেগবান ও আধুনিকায়ন করতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসসহ বিভিন্ন স্তরে তথ্য-প্রযুক্তি যে অবদান রাখছে তার জন্য বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ। দেশের দ্বিমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষার বাস্তব সমন্বয় সাধন করে সঠিক ইসলামী আদর্শের বুনিয়াদে ১৩৭৯ সালে মাদরাসাটির শুভ সূচনা করেন আমার পিতা মরহুম অধ্যাপকা মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছীন। তারপর কালের বিবর্তনে মহান আল্লাহ্র মেহেরবাণীতে আজ তা পত্র-পল্লবে সুশোভিত হয়ে বিরাট মহীরূহে পরিণত হয়েছে। যাদের প্রচেষ্টা, অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় মঙ্গলকান্দি ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা বর্তমান অবস্থানে পৌঁছেছে এবং এগিয়ে চলেছে, বিশেষ করে গভর্ণিং বডির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, শিক্ষকম-লী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও সর্বস্তরের জনগণ, তাঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতারসহিত আন্তরিক মুবারকবাদ জ্ঞাপন করছি । ইসলামী জীবনাদর্শ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, অর্থনীতি ও সমাজনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মসলিম সন্তানদেরকে আদর্শ নাগরিক রূপে গড়ে তোলা, বিশেষ করে নৈতিক অবক্ষয় থেকে তরুন সমাজকে রক্ষা ও নারীকে পরিপূর্ণ দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করে চারিত্রিক উৎকর্ষ ও মূল্যবোধ তৈরীর বাস্তব উদ্যোগই হোক এ প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা -এ দোয়াই করছি আমিন।
অধ্যক্ষের বাণী

কাঞ্চনপুর এলাহিয়া ফাযিল মাদরাসাটি অতি প্রাচীন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মানব সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে মানুষ সদাসর্বদা জ্ঞান আহরণ করছে ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চলছে। সুদীর্ঘকাল হতে সঞ্চিত ও অর্জিত এলেম শেখানো হয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের চাহিদা ও মানব কল্যানে সমাজের জ্ঞানী ব্যক্তিরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন । এমনি ভাবেই দক্ষ অভিজ্ঞ পণ্ডিত বিদগ্ধ বিদ্যানুরাগী এক ক্ষনাজন্মা মহান ব্যক্তিত্ব মরহুম মৌলভী আজহার আলী খান আদর্শ মানুষ ও সুনাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে এলাকা বাসীর সার্বিক সহযোগিতায় টাংগাইল জেলার বাসাইল উপজেলাধীন কাঞ্চনপুর গ্রামে ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষালয় হিসাবে ১৯৪১ইং সনে প্রতিষ্ঠা করেন কাঞ্চনপুর এলাহিয়া ফাযিল মাদরাসা, ডাকঘর: কাঞ্চনপুর, বাসাইল, টাংগাইল। মাদরাসাটি গভর্নিং বডির ঐকান্তিক চেষ্টা, শ্রম ও এলাকা বাসীর স্বত:স্ফুর্ত অবদানে বর্তমানে একটি গ্রহণ যোগ্য অবস্থানে উন্নীত হয়েছে । বর্তমানে সরকারের নীতি মালা অনুসারে শিক্ষক মণ্ডলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ও অধ্যবসায় এবং এলাকাবাসীর সম্মিলিত পরামর্শে মাদ্রাসাটি ১৯৮৪ ইং সনে ফাযিল শ্রেণী স্বীকৃতি লাভ করে এবং ২০২৫ সালে কামিল (হাদীস) খোলার অনুমতি লাভ করে । মহান আল্লাহ তায়ালা এই প্রতিষ্ঠানটি কবুল করুন। আমীন।